শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ১২ দলীয় জোটের প্রতিবাদ
ছাত্রলীগের হামলায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ১২ দলীয় জোট নেতারা। এক বিবৃতিতে তারা এটি দাবি করে গভীর নিন্দা উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নেতারা বলেন, নতুন প্রজন্মের চিন্তাজগতের মূল লক্ষ্য বৈষম্যহীন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা। তাদের এই আদর্শগত আন্দোলনের গতিবেগ যখন দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে তখন সরকার মতাদর্শিক বুদ্ধিহীনতায় জাতিকে বিভক্তকরণের আত্মঘাতী খেলায় নেমেছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে সরকার রাষ্ট্রকে দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করে গড়ে তুলেছে।
‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা বিপক্ষের নামে প্রজন্মের মধ্যে বিভক্তি রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়’ উল্লেখ করে ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিবাদ এবং আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে আলোকিত রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে রাজপথে আন্দোলনরত নতুন প্রজন্মের ছাত্রদের উদ্দেশে সরকারের ধৃষ্টতাপূর্ণ, অপরিণামদর্শী ও উসকানিমূলক বক্তব্য পরিস্থিতিকে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। ভোটের অধিকার, নিরাপদ সড়কের অধিকার, চাকরির অধিকার, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা নিয়ে যারাই বিবেকের কণ্ঠস্বর হিসেবে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়েছে; তাদের এবং প্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা সরকারের রাষ্ট্রীয় অপরাধ।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা'র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি মাস্টার এম এ মান্নান ও প্রগতিশীল ন্যাশনালিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান ফিরোজ মাহমুদ লিটন।