সেই এডিসি হারুনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাদের থানায় নিয়ে মারধরের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির আদেশ ক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে ১৬ জুলাই এডিসি হারুনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ অধিদপ্তরের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, সামিয়ক বরখাস্তকাল কর্তব্যকাল হিসেবে গণ্য হবে। জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের (পুলিশ-১) প্রজ্ঞাপনে তাকে ওই রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত এবং পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত) হারুন-অর-রশীদকে রংপুর রেঞ্জে ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হলো।
পুলিশের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুনের আড্ডা দেওয়া নিয়ে ৯ সেপ্টেম্বের (শনিবার) রাতে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, হারুনের সঙ্গে শাহবাগের একটি হাসপাতালে পুলিশের একজন নারী কর্মকর্তা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান।
এ ঘটনায় হারুন-অর-রশীদকে পরের দিন রোববার দুপুরে ডিএমপির রমনা বিভাগ থেকে দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় তাকে এপিবিএনে বদলি করা হয়। পরের দিন সোমবার বিকেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপরের দিন মঙ্গলবার তাকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।