প্যারিস অলিম্পিক
ইউক্রেনকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
এবারের অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার শুরুটা ছিল নাটকীয়। মরক্কোর বিপক্ষে হারে আলবিসেলেস্তেদের পরের রাউন্ডে খেলা নিয়েও জেগেছিল শঙ্কা। তবে, পরের দুই ম্যাচে ইরাক ও ইউক্রেনকে উড়িয়ে ১৬ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল হাভিয়ের মাসচেরানোর দল।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) লিওঁর গ্রুপামা স্টেডিয়ামে ইউক্রেনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে গোল করেন থিয়াগো আলমাদা ও ক্লদিও এচেভেরি। এই ম্যাচটি জিতে ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকের পর ফের নকআউটে আর্জেন্টিনা। পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। ১০ মিনিটের মধ্যে গোলের একাধিক সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু পাওয়া হয়নি কাঙ্ক্ষিত গোলটি। হুলিয়ান আলভারাজের শট লক্ষ্যে থাকেনি। এরপর ইউক্রেনও পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দল। যার ফলে গোলশূন্য বিরতিতে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৪৭তম মিনিটে ক্রিস্তিয়ান মেদিনার কাছ থেকে বল পেয়ে কিছু দূর এগিয়ে এগিয়ে এসে বক্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন থিয়াগো আলমাদা। তার গোলে ১-০ ব্যবধানে লিড নেয় আলবিসেলেস্তারা।
গোল হজম করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ইউক্রেন। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। ৭৪তম মিনিটে সমতার ভালো সুযোগ নষ্ট হয় ইউক্রেনের। ওলেহ ওচেরেতকোর শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। উল্টো ম্যাচের একেবারে শেষদিকে এসে আরও একটি গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে কেভিন হেনোনের শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে আটকালেও বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি। কোনাকুনি শটে জালে জড়িয়ে দেন এচেভেরি। তার এই গোলেই স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে প্রথম সোনা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। বেইজিংয়েও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছিল তারা। ২০১২ সালে লন্ডনে হ্যাটট্রিক স্বর্ণের মিশনে তো অংশই নিতে পারেনি। তারপর ২০১৬ ও ২০২১ অলিম্পিকে টানা দুইবার খেলে গ্রুপ পর্বে বিদায় নেয় দলটি।