প্রস্তাব পেয়েও উপদেষ্টা হননি শায়খ আহমাদুল্লাহ, জানালেন শুভ কামনা
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করেন প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। এ উপদেষ্টা পরিষদে সমাজের বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। আলেম সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ইসলামিক ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহকেও। প্রস্তাব পেয়েও তা ফিরিয়ে দেন তিনি।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করে তিনি লেখেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হলো। আমি এই সরকারের সাফল্য কামনা করছি।’
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও লেখেন, ‘সর্ব-প্রকার জুলুম, অরাজকতা, চাঁদাবাজি ও অপশাসনের অবসান হোক, এদেশের সব ধর্মের মানুষ ভালো ও নিরাপদ থাকুক, নতুন সরকারের কথায় ও কাজে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটুক—এই প্রত্যাশা তাদের প্রতি।’
ওই পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আলেমদের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হলেন সিনিয়র আলেম, প্রিয় মানুষ ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। অভিনন্দন তাকে। মহান আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দিন এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।’
উপদেষ্টা হিসেবে নিজের নাম প্রস্তাবের বিষয়ে এই আলেম লেখেন, ‘আমার অযোগ্যতা সত্ত্বেও আপনারা অনেকে গত দুই দিন ধরে আমার নাম প্রস্তাব করেছেন এবং আমার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন; যার উপযুক্ত আমি ছিলাম না—তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। মহান আল্লাহ আপনাদের ভালোবাসা ও সুধারণার উত্তম বিনিময় দান করুন।’
শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ‘নতুন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তার কতটুকু তারা পূরণ করতে পারবে সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে দোয়া করি, প্রিয় মাতৃভূমি ভালো থাকুক। নিরাপদ থাকুক আমাদের জীবন, সম্পদ, দীন ও ঈমান।’