রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম দিনে লড়াই সমানে সমান
বৃষ্টির বাধা কাটিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ মিলে কাঁপিয়ে দেন পাকিস্তানের টপ অর্ডার। তবে, দিনের শেষ ভাগে লড়াই জমিয়ে জবাব দেয় পাকিস্তান। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার টেস্টের প্রথম দিনে দুদলই লড়াই করে সমানে সমান।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে শেষ করেছে পাকিস্তান। দিন শেষে উইকেটে ছিলেন দুই সেট ব্যাটার সাউদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। হাফসেঞ্চুরিতে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন শাকিল। আর রিজওয়ান আছেন ২৪ রানে অপরাজিত।
বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনের শুরু থেকেই খেলা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। সকালের বৃষ্টিতে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় ম্যাচ শুরুর জন্য অপেক্ষা করতে হয় দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত। যথাসময়ে মাঠ প্রস্তুত না হওয়ায় প্রথম সেশন কোনো খেলাই সম্ভব হয়নি। সরাসরি দিয়ে দেওয়া হয় মধ্যাহ্ন বিরতি। এরপর ভেস্তে যায় দ্বিতীয় সেশনের খেলা।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় হয় টস। এর আধঘণ্টা পর শুরু হয় মাঠের লড়াই। তৃতীয় সেশনে খেলতে নেমে টস টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। বোলিং ইনিংসের শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। নতুন বলে শুরুতেই ব্রেক থ্রু দেন হাসান মাহমুদ। তার অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি ড্রাইভ করেন আব্দুল্লাহ শাফিক। তবে বল ব্যাটের বাইরের দিকে লেগে চলে যায় স্লিপের দিকে। সেখানেই ডান দিকে ঝাঁপিয়ে চমৎকার ক্যাচ নেন জাকির। ২ রানে থামে শফিকের ইনিংস।
এরপর দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন শরিফুল ইসলাম। সপ্তম ওভারে শরিফুলের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি ভেতরে ঢোকার মুখে রক্ষণাত্মক শট খেলার চেষ্টা করেন শান মাসুদ। কিন্তু পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় কিপারের হাতে। প্রথমে আম্পায়ার সাড়া দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে তাকে বিদায় করে বাংলাদেশ। ১৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। শান মাসুদ করেন ৬ রান।
চারে নামা বাবর আজমকেও টিকতে দেননি শরিফুল। নিজের পরের ওভারেই বাবরকে বিদায় করেন তিনি। শরিফুলের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন বাবর। কিন্তু টাইমিং মেলেনি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় কিপার লিটন দাসের হাতে। শূন্যতেই থেমে যায় বাবরের লড়াই।
এরপর দিনের চতুর্থ শিকার আসে শেষ সেশনের পানি বিরতির পর। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া সাইম আইয়ুবকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান হাসান মাহমুদ। ফেরার আগে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৯৮ বলে ৫৬ রান করেন সাইম। তার বিদায়ে ভাঙে ৯৮ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙে পাকিস্তানের।
এই চার উইকেট পড়ার পর রিজওয়ান ও শাকিল মিলে গড়েন প্রতিরোধ। এই জুটিতে ভর করেই দিনের বাকি অংশ লড়াই করে পার করে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে চার উইকেটের মধ্যে সমান দুটি করে নেন হাসান ও শরিফুল। স্পিনাররা সেই অর্থে কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪১ ওভারে ১৫৮/৪ (শাফিক ২, সাইম ৫৬, মাসুদ ৬, বাবর ০, শাকিল ৫৭*, রিজওয়ান ২৪*; শরিফুল ১২-৪-৩০-২, হাসান ১৩-৩-৩৩-২, নাহিদ ১-০-৪৮-০, মিরাজ ৪-০-২৪-০, সাকিব ২-০-১২-০)।