পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত সীমান্ত খোকন
কিশোরগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এনটিভির বার্তা সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সীমান্ত খোকন। আজ বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে তাঁর তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারাইল উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের হাছলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এসময় তাঁর পরিবারের সদস্য, গ্রামবাসী ও আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে আসা স্বজনরা এসময় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা ছিল না করোরই।
এর আগে আজ দুপুরে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এনটিভি কার্যালয়ের সামনে। জানাজায় অংশ নেন এনটিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক নুরুদ্দীন আহমেদসহ এনটিভির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ। তাঁকে বিদায় জানাতে অশ্রুসজল হয়ে পড়ে পুরো এনটিভি পরিবার।
প্রথম জানাজা হয় বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে। প্রেসক্লাবের সামনে জানাজায় প্রেসক্লাবের সদস্য, তাঁর শুভানুধ্যায়ী, বর্তমান ও সাবেক সহকর্মী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর চামেলীবাগের নিজ বাসায় সীমান্ত খোকন ইন্তেকাল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) করেন। তাঁর অকালমৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনটিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীসহ এনটিভি পরিবার।
সাংবাদিক সীমান্ত খোকন শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে সীমান্ত খোকন স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। ১৯৭৩ সালে তাড়াইলে জন্ম নেওয়া সীমান্ত খোকন ছিলেন পুরোদস্তুর সাংবাদিক। মানবজমিনে বিনোদন সাংবাদিকতা দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পথচলা শুরু করা সীমান্ত খোকন টেলিভিশন সাংবাদিকতায় আরটিভির পর ২০১০ সাল থেকে এনটিভি পরিবারের সাথে পথ চলেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছিলেন সীমান্ত খোকন। ছিলেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সহ সভাপতি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রেসক্লাব।