আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় প্রথমার্ধে পিছিয়ে বাংলাদেশ
লম্বা বিরতির পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। অক্টোবরের পুরো উইন্ডোতে কোনো ম্যাচ না খেলা দলটি নভেম্বরের মাঝামাঝি মুখোমুখি হয়েছে মালদ্বীপের। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) সফরকারীদের আতিথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেমেছে এক বছরের বেশি সময় পর। তবে, প্রথমার্ধে বাংলাদেশের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে অতিথিরা। শুরুতে বেশ আক্রমণাত্মক খেলেও প্রধমার্ধ শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
৪-৩-৩ ফর্মেশেনে দল সাজান বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিট মালদ্বীপকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে বাংলাদেশ। একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখে প্রতিপক্ষকে। দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত স্বাগতিকরা। মাঝমাঠ থেকে সোহেল রানা খুঁজে নেন রাকিব হোসেইনকে। মালদ্বীপ গোলরক্ষক হুসেইন শরীফকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ড রাকিব। চতুর্থ মিনিটে আবারও সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এবার বামপ্রান্ত থেকে ঈসা ফয়সালের শটে শেখ মোরসালিনের হেড। তবে, সেটি গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
প্রথম ১০ মিনিটে আরও সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। আট মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে বল পান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। মাঝমাঠ থেকে বল একাই টেনে নিয়ে যান। কিন্তু, প্রতিপক্ষের রক্ষণে পাননি স্বদেশি কাউকেই। ভেস্তে যায় সেই আক্রমণও। স্রোতের বিপরীতে ১১ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় মালদ্বীপ। বাংলাদেশি রক্ষণের ভুলে বল পান দলটির ফরোয়ার্ড নাইজ হাসান। বাঁ দিক থেকে দারুণ শট দেন, তারচেয়ে দ্বিগুণ সৌন্দর্যে সেইভ করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
১৪ মিনিটে ফাহিম আরও একটি আক্রমণ সাজান। বাম দিক ধরে এগিয়ে যান প্রবল গতিতে, কিন্তু প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল দেওয়ার মতো কাউকে পাননি। বেশ কয়েকটি আক্রমণ সাজিয়েও বাংলাদেশ গোল করতে পারেনি।
অন্যদিকে, মালদ্বীপকে সেই হতাশায় পুড়তে হয়নি। ১৮ মিনিটে ফরোয়ার্ড হামজা মোহাম্মদের ফ্রি-কিকে বাংলাদেশের ডি-বক্সে বল পান আলী ফাসির। বল জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। ফাসিরের গোলে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ।
পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ অবশ্য থামায়নি আক্রমণ। একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছে মালদ্বীপের রক্ষণভাগে। তবে, প্রতিপক্ষ সেসব সহজেই সামলে নিতে পেরেছে। বাংলাদেশের সুযোগগুলো মালদ্বীপের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। স্বাগতিকদের ফিনিশিং দুর্বলতায় পার পেয়েছে তারা। যদিও, গোল করে মালদ্বীপ নিজেদের রক্ষণভাগ বেশ শক্তিশালী করে রাখে। ফলে, এক গোলে এগিয়ে থাকার আনন্দ নিয়ে বিরতিতে যেতে পেরেছে দলটি।