সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়ার বাড়িতে আগুন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে তার বাড়ির দুটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) মতলব উত্তরের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ পরিদর্শক নুরুল করিম বলেন, ‘শনিবার রাত ১১টার দিকে আগুনের খবর পাই। মায়া চৌধুরীর বাড়ির দুটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।’
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) প্রদীপ বলেন, ‘রাতে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। আমাদের এসপির নির্দেশে যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর আমরা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সাবেক এমপি মায়া চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পেয়ে দ্রুত সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে যাই।’
খায়রুল কবির চৌধুরী আরও বলেন, ‘দুটি বাড়ির নিচতলায় ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছিল। তবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ কারণে আগুন নিচতলাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।’
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সারোয়ার মজুমদার বলেন, ‘আমরা এটিকে ন্যাক্কারজনক ঘটনা মনে করি। আমরা এটিকে এক বিন্দুও সমর্থন করি না। এ ঘটনায় আমাদের পরিবারের কোনো সদস্য জড়িত নয়। আমাদের নেতা তারেক রহমান, আমরা কখনোই সহিংসতার রাজনীতি করি না। সহিংসতার রাজনীতিকে আমরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিই না।’
কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধের অপকৌশল হতে পারে। রাষ্ট্রের যেকোনো নাগরিকের বাড়িতে আগুন দেওয়া ফৌজদারী অপরাধ। প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরী আত্মগোপনে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় একাধিক মামলা রয়েছে।