শেখ হাসিনা ও ১৬ সাবেক মন্ত্রী-উপদেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল ১৮ ফেব্রুয়ারি
গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। একইসঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওইদিন ধার্য করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের তিন সদস্যের এ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অপর বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে সকাল ১০টায় প্রিজন ভ্যানে করে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাইব্যুনালে আনা হয় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রীদের। তারা হলেন—সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, আব্দুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক সচিব জাহাংগীর আলম।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়।