সুখী নীলগঞ্জের মিনি চিড়িয়াখানায় হচ্ছে আবাসিক কলেজ
পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য প্রথম এজেন্ডা কোয়ালিটি এডুকেশন বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা। আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে শহরের সুখী নীলগঞ্জে (রাঙ্গাপানি হ্যাচারি) এলাকায় জেলা পরিষদ আবাসিক কলেজ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নটরডেম, ভিকারুন্নেছা, ঢাকা কলেজের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, তাই এখানে কোয়ালিটি এডুকেশনকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আমি কোয়ালিটি বিশ্বাস করি, কোয়ান্টিটি নিয়ে থাকতে চাই না।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, রাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. আতিয়ার রহমান, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) খন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, রাঙামাটি সদর জোনের জোন কমান্ডার লেফটেন্যন্ট কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থা অনুন্নত, তাই আমি এবং প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় আলোচনা করে এই বোর্ডিং স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হবে।
শহরের সুখী নীলগঞ্জের এই স্থানে গত ২৩ বছর আগে একটি মিনি চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হয়। তবে অব্যবস্থাপনা, অবহেলার কারণে চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণীগুলো একে একে মরে যায়। সবশেষ গত ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯টি বন্যপ্রাণী বনবিভাগের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে মিনি চিড়িয়াখানার অস্তিত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই স্থানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো জেলা পরিষদের আবাসিক কলেজের।