ফুটবলার মোরসালিনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা

জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় শেখ মোরসালিনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সেঁজুতি বিনতে সোহেল নামে এক নারী মামলাটি করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামি শেখ মোরসালিনকে আদালতে হাজিরের জন্য সমন জারি করেছেন।
বাদী সেঁজুতি বিনতে সোহেলের আইনজীবী ইশফাকুর রহমান বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী ইশফাকুর রহমান বলেন, আসামি শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতির প্রেমের পর বিয়ে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আসামি মোরসালিন বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। এ ছাড়া মোরসালিন বাদীর কাছে গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা যৌতুকও দাবি করেছেন। বাদী ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে এসেছেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতি বিনতে সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বৈবাহিক জীবনের সুখ, শান্তি ঠিক রাখতে চাইলে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে মোরসালিন। বিয়ের পর থেকে বাদী সেঁজুতি আসামির প্রকৃত চেহারা, পরধন লোভী, পরনারীতে আসক্ত তা বুঝতে পারেন। আসামি যৌতুক দাবি করে বারবার বাদীকে মানসিক চাপ দেন এবং বলেন, বাদীর বাবার সব সম্পত্তি বিক্রি করে নগদ টাকা আসামির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। এরপর বাদী অনুনয়-বিনয় করে আসামিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তার পিতা-মাতার যা সাধ্য ছিল তা বিয়ের সময় খরচ করেছেন। পিতা-মাতার মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দিলে তাদের পথে বসতে হবে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, শতবার তা বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও পাষণ্ড, পরধন লোভী আসামি তা না মেনে পক্ষান্তরে বাদী সেঁজুতি বিনতে সোহেলকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। পরে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন অধিক পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এতে সেঁজুতি উপায়ন্তর না পেয়ে তার পিতা-মাতার বাসায় চলে আসেন। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকেয় মোরসালিন তার স্ত্রীর বাসায় আসেন। এ সময় সেঁজুতি মোরসালিনের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে গেলে তিনি জানান, ‘আমি খাবার খেতে আসিনি। ২০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য এসেছি।’ তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেঁজুতির পিতা-মাতা আসামিকে অনুরোধ করেন, ২০ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়ার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। তখন আসামি মোরসালিন তার স্ত্রী সেঁজুতি ও তার পিতা-মাতাকে গালাগাল ও হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।
মামলার আবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়, আসামি মোরসালিন বাদীর নিকট যৌতুক চেয়েছে এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় অপরাধ সংঘটিত করেছেন।