কর্মচারীকে মারধর, কর্মবিরতিতে অচল কিশোরগঞ্জ পৌরসভা
কাউন্সিলরের হাতে সহকর্মী মারধরের শিকার হওয়ার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা। আজ বুধবার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। এর ফলে পৌরসভার স্বাভাবিক সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কর্মচারীরা জানান, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, যুবদল নেতা আশরাফুল আলম শামীম কয়েকজন বহিরাগতকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার প্রকৌশল শাখার ভারপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার ও পৌর কর্মচারী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক রোকনকে নিজ কক্ষে মারধর করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে পৌর কর্মচারী সংসদ আজ সকাল থেকে কর্মবিরতি আহ্বান করে।
সকাল থেকে পৌরসভায় দায়িত্বরত কর্মচারীরা কাজে যোগদান না করে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মস্তানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এদিকে সমাবেশ চলাকালে শামীম হাতে অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন সহযোগীসহ উপস্থিত হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া দ্রুত সমাবেশস্থলে এসে শামীমকে সরিয়ে নিয়ে যান।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া বলেন, ‘উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।’
পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক রোকন মেয়রের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগামীকাল এ নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ঘটনার ব্যাপারে মো. আজিজুল হক রোকন জানান, ‘বিগত পৌর নির্বাচনে আমার আত্মীয়স্বজন শামীমের বিপক্ষে কাজ করে। এ ক্ষোভ থেইে কাউন্সিলর আমার ওপর হামলা চালিয়েছেন।’
‘আজ সকালেও কাউন্সিলর প্রকাশ্য সমাবেশে অস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছিলেন, যা সবাই দেখেছে। মেয়র সুরাহার আশ্বাস দেওয়ায় থানায় অভিযোগ করিনি।’ বলেন আজিজুল হক।
তবে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল আলম শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।