প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপে মুক্তি পেলেন শতবর্ষী বৃদ্ধা
গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ওয়াহিদুন্নেছা নামের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শতবর্ষী এক নারী মুক্তি পেয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিশেষ উদ্যোগে এ নারী বন্দিকে আজ মঙ্গলবার মুক্তি দেওয়া হয়। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের মতলব থানার জোড়াখালী গ্রামে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, প্রধান বিচারপতির গত ২৯ জুন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে আসেন। এ সময় যেসব বন্দি বয়সের ভাড়ে ন্যূব্জ হয়ে পড়েছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক আছেন এ রকম বন্দিদের একটি তালিকা প্রধান বিচারপতিকে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। প্রধান বিচারপতি কিছু বন্দির সঙ্গে কথাও বলেন। এদের মধ্যে মুক্তির বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেন শতবর্ষী বৃদ্ধা ওয়াহিদুন্নেছাও। তাঁর কথা শুনে বয়স ও আচার-আচরণ বিবেচনায় কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। পরে কারা কর্তৃপক্ষ জেল আপিল করলে সোমবার প্রধান বিচারপতি সাজা মওকুফ করে তাঁকে মুক্তির আদেশ দেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশের কপি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় ওয়াহিদুন্নেছার ছেলেমেয়ে ও পুত্রবধূরা কারা ফটকে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৭ সালে দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় ২০০০ সালের ১৪ মে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ একই পরিবারের ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জনকে মৃতুদণ্ড ও ওয়াহিদুন্নেছাসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তা খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরে নির্ধারিত সময়ের ৪৭০ দিন পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে, তাও খারিজ হয়ে যায়। ফলে কারাগারই হয় ওয়াহিদুন্নেসার শেষ ঠিকানা। ২০০৭ সালের ২৩ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে আনা হয় তাঁকে। এরই মধ্যে তিনি ১৬ বছর সাজা ভোগ করেছেন।