জঙ্গিবাদ ইস্যুতে ১৬ কোটি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ : যুবলীগ চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতে দেশের আলেম-ওলামাসহ ১৬ কোটি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হতে পারে না।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৮৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ওমর ফারুক চৌধুরী এ কথা বলেন। যুবলীগ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে। যুবলীগের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধভাবেই জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করা হবে। নির্মূল করা হবে তাদের অর্থ ও মদদদাতাদের। খুনিদের মদদদাতা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হতে পারে না।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতে দেশের আলেম-ওলামাসহ ১৬ কোটি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। যারা নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদের সাথে ঐক্য হতে পারে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইসলাম শান্তি, মানবতা ও প্রতিবাদের ধর্ম। এ ধর্ম মানুষ হত্যা কিংবা মানুষের হাত-পায়ের রগ কাটা সমর্থন করে না।’
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের শান্তিকামী জনতার সঙ্গে আমাদের ঐক্য তৈরি হয়ে গেছে। সে ঐক্য দিয়েই এরই মধ্যে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং দেশজুড়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মানববন্ধন-প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে জঙ্গি নির্মূলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জঙ্গিরা আর রেহাই পাবে না, অচিরেই এ দেশের মানুষ দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল করবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত হরতাল ও জ্বালাও পোড়াও করে ব্যর্থ হয়ে এখন বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশিদের হত্যা করা শুরু করেছে। তাদের ধারণা ছিল এসব হত্যার মধ্য দিয়ে সরকারকে বৈদেশিক চাপে ফেলবে। ধর্মের নামে মিথ্যাচার করে মানুষদের হত্যা করছে। তারা মনে করেছিল, এতে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের সমর্থন পাবে। কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত মানুষের তীব্র ঘৃণা পেয়েছে।’
সভায় বক্তব্য দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আতাউর রহমান, মোতাহার হোসেন সাজু, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, শ্যামল কুমার রায়, মিল্লাত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আলী মিন্টু, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, রেকায়েত আলী খান নিয়ন, আশরাফুল ইসলাম দুলাল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু।