টাঙ্গাইলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

আজ বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ উদ্দিন আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত গৃহশিক্ষকের নাম তোফাজ্জল হোসেন হিরা। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার ফলদা দক্ষিণপাড়া গ্রামে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ভুঞাপুর উপজেলার ফলদা চাইল্ড কেয়ার হোমের শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর গৃহশিক্ষক ছিলেন। তিনি ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে পড়াতেন। ২০১০ সালে ১ মার্চ তোফাজ্জল ছাত্রীর মাকে মোবাইল ফোনে জানান, তিনি অসুস্থ থাকায় পড়াতে যেতে পারবেন না। একই সঙ্গে ছাত্রীকে বই নিয়ে তাঁর বাড়িতে পাঠাতে বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী শিক্ষক তোফাজ্জলের বাড়িতে যায়। সেখানে তিনি ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন। দুপুর ২টার দিকে ছাত্রীটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ঘটনাটি জানায় এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। শিশুটিকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা একই বছরের ৫ মার্চ ভুঞাপুর থানায় তোফাজ্জলকে আসামি করে মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট নাসিমুল আক্তার। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আরফান আলী মোল্লা। আসামি বর্তমানে টাঙ্গাইলের কারাগারে আছেন।