লাল বলেও দুর্দান্ত তাসকিন
নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন তাসকিন আহমেদ। ঈশ! সাব্বির যদি জিভ রাভালের ক্যাচটা না ফেলতেন তাহলে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারেই উইকেটের স্বাদ পেতে পারতেন এই পেসার। উইকেট না পেলেও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের স্বস্তিতে থাকতে দেননি তাসকিন। ওভার প্রতি চারের বেশি রান দিলেও গতি আর বাউন্স দিয়ে ল্যাথাম-উইলিয়ামসনদের তটস্থ করে রেখেছেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখার ফলটাও হাতেনাতে পেয়ে যান এই পেসার। নিজের অষ্টম ওভারে কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে ৫৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা উইলিয়ামস পরের বলেই বদলি উইকেট কিপার ইমরুল কায়েসের গ্লাভসবন্দি।
লাল বলে তাসকিনের প্রথম উইকেটের উদযাপনটা ছিল একেবারেই সাদামাটা। দুর্দান্ত গতি আর সুইং পাওয়া তাসকিন কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের স্বপ্নটা আরো বড় করে দিয়েছেন। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সে বছরের জুনে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তাসকিনের। প্রথম ওয়ানডেতেই পাঁচ উইকেট নেন এই পেসার। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন তাসকিন। এরপর ছয় মাস পুনর্বাসনে থেকে অ্যাকশন শুধরে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন এই বোলার।
এখন পর্যন্ত ২৩ ওয়ানডেতে ৩৫ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। আর ১৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে ইনজুরির কারণে টেস্ট খেলার আগে খুব বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সম্ভাবনাময় এই পেসার। ১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ২৪ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া ৫৩টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলে নেন ৮৩টি উইকেট।