কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন রসরাজ
অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রসরাজ দাস। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। কারামুক্ত হয়ে স্বজনদের সঙ্গে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন রসরাজ।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রসরাজের জামিন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জেলা কারাগারে এসে পৌঁছায়। এর আগে সোমবার সকালে রসরাজ দাসকে জামিন শুনানির জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে বিচারক মো. ইসমাঈল হোসেন পুলিশের পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত রসরাজের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের বাসিন্দা রসরাজ দাসের ফেসবুক আইডি থেকে পবিত্র কাবাঘরের ছবি সম্পাদনা করে আপত্তিকর পোস্ট করা হয়। এ নিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ ওঠার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় পরের দিন ২৯ অক্টোবর নাসিরনগর সদর উত্তাল হয়ে পড়ে। পুলিশ বাদী হয়ে রসরাজ দাসের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করে।
৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরের কলেজ মোড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সমাবেশ চলাকালে সদরের একাধিক মন্দির ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
এ ঘটনার পর ৪ নভেম্বর উপজেলায় হিন্দুদের পাঁচটি ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ৫ নভেম্বর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেবের গোয়ালঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর পর ১৬ নভেম্বর তাঁর বাড়ির আঙিনায় রাখা পাটখড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
এদিকে, গত ২৮ নভেম্বর জেলা পুলিশের কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে রসরাজের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে ধর্ম অবমাননাকর সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়নি বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফরেনসিক বিভাগ।