আপন জুয়েলার্সের ৮৫ কোটি টাকার অলংকার 'আটক'
রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় অভিযান চালিয়ে ২৮৬ কেজি স্বর্ণ ও ৬১ গ্রাম ডায়মন্ড আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এগুলো প্রতিষ্ঠানগুলোর জিম্মায় রাখা হয়েছে। স্বর্ণ ও ডায়মন্ডগুলোর মূল্য ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
আজ রোববার রাতে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দিপা রাণী হালদারের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপন জুয়েলার্সের ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কোয়ারের পাঁচটি শাখায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় গুলশানের একটি শোরুম সিলগালা করে দেওয়া হয়। অভিযানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ কর কর্মকর্তা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের এবং এ নিয়ে সারা দেশে তোলপাড়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দারা।
মালিক দিলদার আহমেদ ও তাঁর ছেলে সাফাত আহমেদের ‘ডার্টি মানি’র তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ একাধিকবার এবং বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিবকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ঘটনার দিন সাফাতের জন্মদিনে দুই ছাত্রী যান। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ তাঁদের বনানীর ২৭ নম্বর রোডের দ্য রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যান। হোটেলে যাওয়ার আগে বাদী ও তাঁর বান্ধবী জানতেন না সেখানে পার্টি হবে। তাঁদের বলা হয়েছিল, এটা একটা বড় অনুষ্ঠান, অনেক লোকজন থাকবে। অনুষ্ঠান হবে হোটেলের ছাদে। সেখানে যাওয়ার পর তাঁরা ভদ্র কোনো লোককে দেখেননি। সেখানে আরো দুই তরুণী ছিলেন। বাদী ও বান্ধবী দেখেন সাফাত ও নাঈম ওই দুই তরুণীকে ছাদ থেকে নিচে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এই সময় বাদীর বন্ধু ও আরেক বান্ধবী ছাদে আসেন। পরিবেশ ভালো না লাগায় তাঁরা চলে যেতে চান। এই সময় আসামিরা তাঁদের গাড়ির চাবি শাহরিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নেন। তাঁকে খুব মারধর করেন। ধর্ষণ করার সময় সাফাত গাড়িচালককে ভিডিওচিত্র ধারণ করতে বলেন। বাদীকে নাঈম আশরাফ মারধর করেন এবং তিনি প্রতিবাদ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর বাদী ও বান্ধবীর বাসায় দেহরক্ষী পাঠানো হয় তথ্য সংগ্রহের জন্য। তাঁরা এতে ভয় পেয়ে যান। লোকলজ্জার ভয় এবং মানসিক অসুস্থতা তাঁরা কাটিয়ে উঠে পরে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলার সিদ্ধান্ত নেন। এতে মামলা করতে বিলম্ব হয়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত এবং সাকিফ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে রিমান্ডে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।