পাঁচ বছর পর রিয়ালের লা লিগা শিরোপা
২০১১-১২ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ শেষবারের মতো জিতেছিল লা লিগার শিরোপা। এরপর গত পাঁচ বছরে অনেক শিরোপাই উঠেছে রিয়ালের ট্রফিকেসে। দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগ, একবার কোপা দেল রে। উয়েফা সুপার কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপ- কোনো শিরোপাই বাদ যায়নি। আক্ষেপ ছিল শুধু লা লিগা নিয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা আর নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদ এই পাঁচ বছর শুধু হতাশই করেছে স্পেনের সফলতম এই ক্লাবটিকে। তবে এবারের মৌসুমে সেই আক্ষেপ দারুণভাবে ঘুঁচিয়ে দিয়েছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। জিতে নিয়েছে লা লিগার শিরোপা।
গত চারটি মৌসুমের তিনবারই লা লিগা শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এবার সেই সমীকরণটি উল্টে দিয়েছে তারা। লা লিগার শেষ ম্যাচে মালাগার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে হতাশ করেছে বার্সেলোনাকে। লা লিগায় নিজেদের শেষ ম্যাচে বার্সাও ৪-২ গোলে হারিয়েছে এইবারকে। কিন্তু রিয়াল মালাগার বিপক্ষে জিতে যাওয়ায় দ্বিতীয় স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে কাতালানদের। ৩৮ ম্যাচ শেষে ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জিতেছে রিয়াল। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সার সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৯০ পয়েন্ট। ২০১৩-১৪ মৌসুমের শিরোপাজয়ী আতলেতিকো মাদ্রিদ এবার তৃতীয় স্থানে আছে মাত্র ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে।
বেশ কয়েক দিন ধরেই দারুণ ফর্মে থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো লা লিগার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও জ্বলে উঠেছিলেন দারুণভাবে। খেলা শুরুর মাত্র দুই মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন রিয়ালকে। দ্বিতীয়ার্ধে, ৫৫ মিনিটে আরেকটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
এবারের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের হাতছানিও আছে রিয়াল মাদ্রিদের সামনে। এরই মধ্যে তারা পেয়ে গেছে ফাইনালের টিকিট। শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে ইতালির শীর্ষ ক্লাব জুভেন্টাসকে হারাতে পারলেই শিরোপা উঠবে রিয়ালের ঘরে।
অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে আগেই ছিটকে পড়েছিল বার্সেলোনা। লা লিগার শিরোপাটাও হারাতে হলো রিয়ালের কাছে। এখন শিরোপাবিহীন মৌসুমের হতাশায় ডুবতে না চাইলে বার্সাকে জিততে হবে কোপা দেল রের শিরোপা। ফাইনালে হারাতে হবে আলাভেজকে।