‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’
সোমবার ভোর। রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডের এক নম্বর বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা মানবাধিকারকর্মী ফরিদা আখতারের কাছে ফোন আসে তাঁর স্বামী কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের।
টেলিফোন ধরতেই ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এরপরই টেলিফোন লাইনটি কেটে যায়।
বিকেলে ফরহাদ মজহারের রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের এক নম্বর বাড়িতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তাঁর বন্ধু গৌতম দাস। ভোর ৫টার দিকে শ্যামলীর রিং রোডের এক নম্বর বাসার সামনে থেকে কে বা কারা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার আধ ঘণ্টা পর ফরহাদ মজহারের মোবাইল ফোন থেকে তাঁর স্ত্রীর কাছে টেলিফোন আসে। ফোনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন।
এরপর বিষয়টি আদাবর থানার পুলিশকে জানানো হয় বলে জানান গৌতম। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফরহাদ মজহার কেন এত ভোরে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গৌতম দাস জানান, ফরহাদ মজহার রাত ৩ থেকে ৪টার দিকে ঘুম থেকে ওঠেন। এরপর তিনি বিভিন্ন পড়াশোনা ও লেখালেখির কাজ করেন। কিন্তু কেন তিনি আজ এত সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি গৌতম দাস।
বাড়ির দু-একজন নিরাপত্তারক্ষী ফরহাদ মজহারকে বাসা থেকে বের হতে দেখেছেন বলে জানান তাঁর আরেক বন্ধু মোস্তাইন জহির। কিন্তু তাঁকে কেউ নিয়ে গেছে কি না সেটি তাঁরা দেখেননি। জহির আরো জানান, ভবনের নিচে লাগানো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় দেখা গেছে যে তিনি ভবন থেকে বের হচ্ছেন।