ফরহাদ মজহার বারডেমে ভর্তি
শারীরিক অসুস্থতার কারণে কবি ও লেখক ফরহাদ মজহারকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতার এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘আদালত থেকে আসার পরে ওনার (ফরহাদ মজহার) শরীর অনেক খারাপ লাগছিল দেখে আমরা চিন্তা করলাম, ওনাকে হাসপাতালে নেওয়া দরকার। এ জন্য তাঁকে বারডেমের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। ডাক্তার বলল, ওনার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ, ওনার খুব দ্রুত চিকিৎসা দরকার। এ জন্য তাঁকে বারডেমে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কারো কথা বলা এলাউ (অনুমতি) নয়, প্লিজ ওখানে কেউ ভিড়াভিড়ি (ভিড়) করবেন না।’
বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর ফরহাদ মজহারকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে ফরিদা আখতার বলেন, ‘না না, সরাসরি (আদালত থেকে) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
গত সোমবার রাতে যশোরের নোয়াপাড়া থেকে উদ্ধারের পর সকালে কবি, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক ফরহাদ মজহারকে রাজধানীর আদাবর থানায় নিয়ে আসা হয়।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বেলা পৌনে ৩টায় আদাবর থানার পুলিশ ফরহাদ মজহারকে হাজির করে। পরে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবিবের আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আবেদন করেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে ফরহাদ মজহারের বন্ধু গৌতম দাস সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গতকাল সোমবার ভোর ৫টার দিকে রিং রোডের ১ নম্বর বাসার সামনে থেকে কে বা কারা ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ‘উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া’র আধা ঘণ্টা পর ফরহাদ মজহারের মোবাইল ফোন থেকে তাঁর স্ত্রীর কাছে টেলিফোন আসে। ফোনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন। এরপর বিষয়টি আদাবর থানার পুলিশকে জানানো হয় বলে জানান গৌতম।