এমন জয় চাননি তাঁরা!
টেনিস কোর্টের জীবন্ত কিংবদন্তি তাঁরা দুজন। ফেদেরার জিতেছেন এগারোশর বেশি ম্যাচ আর জোকোভিচের জয়ের সংখ্যাটা আটশ ছুঁইছুঁই করছে। অথচ তাঁদেরই কি না ওয়াকওভার পেয়ে জিততে হলো। উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ডে প্রতিপক্ষের চোটের কারণে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে নোভাক জোকোভিচ ও রজার ফেদেরারকে। এমন নয় যে ওয়াকওভার না পেলে জিততে পারতেন না তাঁরা। এমন জয় পেয়ে সন্তুষ্ট নন জোকোভিচ ও ফেদেরার। তবে কিছু করার নেই। দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রতিপক্ষ যেন চোট না পায়, সেই প্রার্থনাও করেছেন জোকার ও ফেড এক্সপ্রেস।
উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে জোকোভিচ জিতলেন মাত্র ৪০ মিনিটেই। জকোভিচ যখন ৬-২, ২-০ এগিয়ে, ঠিক তখনই পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে সরে যান গ্রেট ব্রিটেনের মার্টিন ক্লিজান। ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের জন্য জোকোভিচের কণ্ঠে সহানূভূতি ঝরেছে। তিনি বলেন, ‘সে ঠিকমতো দৌড়াতে পারছিল না। এভাবে জয় কেউ চায় না। তবে কিছু তো করারও নেই।’ এরপরই বেশ কিছু আক্রমণাত্মক কথাও বলেন জোকার। তিনি বলেন, ‘খেলার মতো অবস্থায় না থাকলে আপনার মাঠে নামা উচিত নয়। কেবল প্রাইজমানি পাওয়ার জন্য খেলা বোধ হয় উচিত নয়। আমি মনে করি, এই নিয়মটা পরিবর্তন করা উচিত।’ ম্যাচটা হেরে গেলেও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য ক্লিজান কিন্তু ৩৫ হাজার ইউরো প্রাইজমানি পাবেন। অনেক টেনিস তারকা ইনজুরি থাকলেও কেবল প্রাইজমানি হাতছাড়া না হওয়ার কারণে খেলে থাকেন।
অন্যদিকে, ৬-৩, ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সময় চোট পেয়ে নিজেকে সরিয়ে নেন রজার ফেদেরারের প্রতিদ্বন্দ্বী আলেকজান্ডার দোগোপোলভ। এই ম্যাচে অবশ্য দারুণ একটা রেকর্ড গড়লেন ফেড এক্সপ্রেস। ক্যারিয়ারের ১০ হাজারতম ‘এস’ (সার্ভেই পয়েন্ট পাওয়া) মারলেন ফেদেরার। ফেদেরারের সামনে এখন রয়েছেন কেবল গোরান ইভানিসেভিচ (১০,১৩১) ও ইভো কার্লোভিচ (১২,০১৮)। ওয়াকওভার পাওয়ার মধ্য দিয়ে উইম্বলডনে ৮৫তম ম্যাচ জিতলেন ফেদেরার। টেনিসের উন্মুক্ত যুগে এর চেয়ে বেশি জয় নেই আর কারো।