আলোচনায় না হলে আন্দোলনে সহায়ক সরকার আনা হবে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে না হলে আন্দোলন করে সহায়ক সরকারের দাবি আদায় করা হবে। ২০১৪ সালের মতো এবার নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছীতে কৃষকদের মধ্যে আমন ধানের চারা বিতরণের সময় আবদুল্লাহ আল নোমান এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা সহায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন চাই। এই সহায়ক সরকার আলোচনার মাধ্যমে হতে পারে, অথবা আন্দোলনে আদায় হতে পারে। কাজেই যদি আলোচনায় না হয়, তাহলে জনগণের ওপর আমাদের বিশ্বাস আছে। তারা নিজেদের ভোটাধিকার নিজেরা কেড়ে নিতে পারবে, শুধু নেতৃত্বের প্রয়োজন। কাজে আমরা সহায়ক সরকার আদায় করব, এই আদায় করার মধ্যে দিয়ে দেশে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ যাদের ভোট দেয় তারা জয়যুক্ত হবে, এখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
সহায়ক সরকার না হলে নির্বাচনে আসবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘প্রশ্নটা এই মুহূর্তে আসছে না। কারণ, এখন পর্যন্ত সময় আছে এবং আমরা আলোচনা করছি, ইলেকশন কমিশনের সাথেও কথা হবে। সার্বিকভাবে যারা নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট—রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন। তাদের সাথে বৈঠক-আলোচনা এগুলো হবে। তো আমাদের বক্তব্য হলো, সহায়ক সরকার ছাড়া কোনো অর্থপূর্ণ নির্বাচন হবে না।’
নোমান বলেন, ‘২০১৪ সালে যেমন নির্বাচন করা হয়েছিল, এখন সে পরিবেশ নাই, করতে পারবে না। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে সামনের দিকে অগ্রসর হবেই। তাকে যদি এর জন্য অনেক কষ্ট, অনেক নির্যাতন সইতে হয়, সইবে। ইতিমধ্যে হাজার হাজার মানুষ এখনো কারাগারে আছে আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে। ভবিষ্যতেও এই আন্দোলন আরো শক্তিশালী হবে যদি এটা আলোচনার মাধ্যমে না হয়। তবে আমরা আশা করছি, সরকারের এই উপলব্ধি আসবেই যে, একক কোনো নির্বাচন করে গ্রহণযোগ্যতা দেশে-বিদেশে পাবে না।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, সিনিয়র সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সহসভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, শফিকুল ইসলাম বেবু, সদর উপজেলা সভাপতি আবদুল আজিজ, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, আলতাব হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক নূর ইসলাম নুরু।