ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তারের সময় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, ৪ পুলিশ আহত
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/10/09/photo-1507559421.jpg)
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাঁওতাল হত্যা ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার মামলায় ইউপি সদস্য শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল রোববার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের এই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তার শাহ আলমকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁর ২০-২৫ অনুসারী। তাঁরা পিবিআই সদস্যদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান। এতে পিবিআইয়ের চার সদস্য আহত হন। পরে আট রাউন্ড গুলি ছুড়ে পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়।
আহতরা পুলিশ সদস্যরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক, এসআই প্রভাত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহ জালাল ও কনস্টেবল বজলু রহমান। তাঁদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরো (পিবিআই) গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন মিয়া জানান, সাঁওতাল পল্লীতে হামলার ঘটনার তদন্তে শাহ আলম জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামিও। পরে গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এ সময় তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর অনুসারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে আত্মরক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছোড়েন পুলিশ সদস্যরা।
গ্রেপ্তার শাহ আলমকে গোবিন্দগঞ্জ থানাহাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয় ও অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করা হয়।