এডিসির সঙ্গে হাতাহাতি, সাবেক সিভিল সার্জনের মুক্তি
ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া লক্ষ্মীপুরের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরিফ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মুক্তি পান তিনি।
ওই চিকিৎসকের পক্ষ থেকে আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে জামিন দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর শওকত হোসেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি ডা. আশফাকুর রহমান মামুন ও জেলা কারাগারের জেলার শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আলোচনা সভায় জেলা বিএমএ ও স্বাচিপ নেতারা ডা. সালাহ উদ্দিন শরিফের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ দুপুর ১২টার মধ্যে মুক্তি না দিলে কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন চিকিৎসক নেতারা।
ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, স্বাচিপ সভাপতি ডা. জাকির হোসেন, ডা. নুরুল ইসলাম, ডা. শংকর কুমার বশাক, ডা. আলতাফ হোসেন, ডা. হামিদ হোসেন, ডা. মোরশেদ আলম, ডা. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আজ সকাল থেকেই সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জেলা আদালতপাড়ায় অবস্থান করায় চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।
গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে শহরের জেলা প্রশাসকের বাসভবন এলাকার কাকলি শিশু অঙ্গনের (বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) প্রবেশমুখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও সাবেক সিভিল সার্জন ড. সালাহ উদ্দিন শরিফের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সালাহ উদ্দিনকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাঁকে কারাগারে পাঠায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।