মেঘনার তীরে দেড় হাজার টন সার জব্দ
লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর তীরে রাখা দেড় হাজার টন সার জব্দ করা হয়েছে। কমলনগরের নাসিরগঞ্জ এলাকায় এসব সার মজুদ রাখা হয়। কমলনগর উপজেলা প্রশাসন এসব সার জব্দ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকরা জানিয়েছেন, এসব সার মেয়াদোত্তীর্ণ। আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নজরে এলে এসব সার জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার।
খবর পেয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
মেঘনা নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে বিপুল মেয়াদোত্তীর্ণ টিএসপি সার মজুদ এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, এক মাস ধরে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন শ্রমিক এসব সার বস্তায় ভরছেন। এসব সার দেখেই বোঝা যায় এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। কেননা এগুলো জমে পাথরের টুকরার মতো হয়ে গেছে। শ্রমিকরা এগুলো ঝরঝরে করে এরপর বস্তায় ভরছেন।
এরপর এসব সারের বস্তা নদীপথে পাচার করা হয়। গত কয়েকদিনে প্রায় চার হাজার বস্তা নদীপথে পাচার করা হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়।
এদিকে শ্রমিকরা জানান, তাঁরা কেবল কাজ করেন। এসব সার মেয়াদোত্তীর্ণ কি না বা কোথায় যায় তা তাঁরা জানেন না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কাঞ্চন নামে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী এসব সার আনা নেওয়ার সঙ্গে জড়িত।
এ ব্যাপারো ফোনে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী কাঞ্চন জানান, সার পরিবহনকারী জাহাজ সাগরে দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে সার এনে ওই এলাকায় মজুদ করা হয়। সারগুলো ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হবে।
তবে বিপুল সার ব্যক্তিগত কী কাজে ব্যবহার হবে এ বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সারোয়ার বলেন, ‘সার মজুদ ও পাচারের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। এসব সার কমলনগরের জন্য বরাদ্দের নয়। এ ব্যাপারে কৃষি অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’