জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি)।
১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্ম নেন জিয়াউর রহমান। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পান মাত্র চার বছর। বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে ৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিস হাউসে নিহত হন তিনি।
বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা জিয়াউর রহমান দেশ পরিচালনায় বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনে তা অনুকরণীয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে মেজর হিসেবে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার হিসেবে সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেন বীর উত্তম খেতাব। সব অর্জনই জিয়াউর রহমানকে দেশ-বিদেশে পরিচিতি দেয় চৌকস ও সাহসী সেনা কর্মকর্তা হিসেবে।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হন ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাহসী ভূমিকায় বদলাতে শুরু করে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা। প্রশংসিত হয় তাঁর ১৯ দফা কর্মসূচি। দেশে ফিরিয়ে আনেন বহুদলীয় গণতন্ত্র।
অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘তাঁর নামের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের যে ধারা তার ইতিহাস জড়িয়ে আছে। এ মানুষটি যদি জন্মগ্রহণ না করতেন তাহলে হয়তো বাংলাদেশ অনেক কিছুই হারাতো।’
মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান অত্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন। আমাদের রাজনীতিতে সততার এ রকম দৃষ্টান্ত বিরল।’এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ মনে করেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রর্বতনকারী দলটিকে সময়ের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করতে পারে দলের প্রতিষ্ঠাতার মূলমন্ত্র।
অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের চলার পথ চিরকাল কুসুমাস্তীর্ণ থাকে না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বাধা বিঘ্ন আসে। সেগুলোকে অতিক্রম করে, লড়াই করে একটি রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে যেতে হয়। এ কঠিন সময়েও বিএনপিকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং জিয়াউর রহমানের আদর্শের কাছে ফেরত যেতে হবে।’