চাঁন মিয়াকে ধরে শুধু কেঁদেছেন প্রেমিকা!
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রেমঘটিত বিষয়ে খুন হয়েছেন চাঁন মিয়া (১৮) নামের এক কলেজছাত্র। গতকাল শুক্রবার রাতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রেমিকার ভাই ও পরিবারের লোকজন চাঁন মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনার পর চাঁন মিয়াকে ধরে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কেঁদেছেন প্রেমিকা।
নিহত চাঁন মিয়া ঝিনাইগাতীরগুমড়া গ্রামের আছমত আলীর ছেলে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেমিকার ভাই রিয়াজুল ইসলাম হৃদয়কে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, চাঁন মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী আবদুর রহমানের কলেজপড়ুয়া মেয়ের তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। কিন্তু মেয়ের পরিবার ব্যাপারটিকে মেনে নেয়নি। গতকাল শুক্রবার রাতে প্রেমিকার পরিবারের লোকজন জরুরি কথা আছে বলে চাঁন মিয়াকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন। চাঁন মিয়া ওই বাড়িতে গেলে প্রেমিকার পরিবারের লোকজন আকস্মিক তাঁর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে চাঁন মিয়ার প্রেমিকা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। কিন্তু তাঁর ভাই ও পরিবারের লোকজন হাত বেঁধে তাঁকে অন্য ঘরে আটকে রাখেন। এ অবস্থায় ওই প্রেমিকা হাতের বাঁধন খুলে চাঁন মিয়ার পরিবারের লোকজনকে খবর দেন।
খবর পেয়ে চাঁন মিয়ার বাবাসহ পরিবারের লোকজন ছুটে যান। কিন্তু তাঁরা গিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। চাঁন মিয়ার নিথর দেহ তাঁরা প্রেমিকার বাড়িতে পড়ে থাকতে দেখেন। তারপরেও মধ্যরাতে চাঁন মিয়াকে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেমিকার ভাইকে আটক করে।
হাসপাতাল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা গেছে, হাসপাতালে চাঁন মিয়ার লাশ ধরে তাঁর প্রেমিকার কান্না উপস্থিত সবাইকে কাঁদিয়েছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত লাশ বুকে জড়িয়ে, কখনো হাত ধরে ছিলেন প্রেমিকা।
এদিকে চাঁন মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা আছমত আলী বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।