‘টেলিযোগাযোগ’ নামে নতুন অধিদপ্তর হচ্ছে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/09/photo-1423471607.jpg)
‘টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর’ নামে একটি আলাদা অধিদপ্তর করা হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ‘ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশন (ডিওটি)’ গঠনের প্রস্তাব আজ সোমবার অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
সচিব বলেন, বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি (বিটিসিএল) নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছিল। তবে বিটিটিবিতে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুরু থেকেই এ কোম্পানিতে কাজ করতে আপত্তি করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন পর সরকার নতুন এই অধিদপ্তর খোলার সিদ্ধান্ত নেয়, যা আজ অনুমোদন করা হলো। তিনি জানান, এই অধিদপ্তরে ২৩৮ জন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। তাঁদের মধ্যে ৮১ জন হলেন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। এ ছাড়া বিটিসিএলের অস্থায়ী সাত হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদগুলো পর্যায়ক্রমে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বিটিটিবি গঠন করা হয়, যা ছিল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি বোর্ড। ২০০৮ সালের ১ জুলাই বিটিসিএল নামে পাবলিক কোম্পানি গঠন করে সরকার। তবে বিটিটিবিতে কর্মরত প্রথম শ্রেণির বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা বিটিসিএলে কাজ করতে আপত্তি জানান। প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কেন তাঁরা কোম্পানির অধীন কাজ করবেন, সে যুক্তি দেখিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা করেন তাঁরা। পরে এ সমস্যা সমাধানে তৎকালীন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আলাদা একটি বিভাগ করলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে কমিটি সুপারিশ করে। সেই সুপারিশ আজ মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সরকারি করপোরেশন (ব্যবস্থাপনা-সমন্বয়) আইন, ২০১৫’ উত্থাপন করা হয়। তবে এই আইন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সচিব জানান, ১৯৭৯ সালের একটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করার প্রস্তাব এসেছিল। এটিতে আরো কিছু পরিমার্জন সংযোজনের প্রয়োজন রয়েছে। ফলে একটি সচিব কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার নির্দেশের আলোকে এই সচিব কমিটি আইনের খসড়ায় প্রয়োজনীয় সংযোজন, বিয়োজন ও পরিমার্জন করে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করবে।