আশাবাদী মাশরাফি, আত্মবিশ্বাসী মাশরাফি
সংবাদ সম্মেলনে বেশ চাপের মুখে থাকতে হলো মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। একে তো অস্ট্রেলিয়ায় এসে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক সব প্রস্তুতি ম্যাচে হার। তার ওপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডেতে পরাজয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশ অধিনায়ক কীভাবে স্বস্তিতে থাকেন! তবে ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হলেও আশার বাণীই শোনালেন মাশরাফি। বুধবার আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ-অভিযান শুরুর প্রত্যয় ধ্বনিত হলো তাঁর কণ্ঠে।
ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একবারই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। গত বছরের ১ মার্চ ফতুল্লায় এশিয়া কাপের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩২ রানে। ওই ম্যাচের কারণে তাঁরা এখন বাড়তি চাপে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বললেন, ‘যেকোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে চাপ থাকবেই। শুধু আফগানিস্তানকে নিয়ে আলাদা চাপ বোধ করার কোনো মানে হয় না। আমাদের এর চেয়েও বড় দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে। খেলায় হার-জিত থাকবেই। সেটা ভেবে অযথা চাপ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’
বাংলাদেশ দলে এবার তরুণ খেলোয়াড়ের আধিক্য চোখে পড়ার মতো। এদের মধ্যে কারো কারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে তাঁদের পারফরম্যান্স নিয়ে যে কারো মনে শঙ্কা জাগতেই পারে। মাশরাফি অবশ্য দলের তরুণ সদস্যদের প্রতি যথেষ্ট আস্থাশীল।
২০০৭ বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিব-তামিম-মুশফিকদের। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে তিনজনের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই স্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মাশরাফি তরুণদের ওপরে ভরসা রাখছেন নির্দ্বিধায়, ‘যেকোনো বড় কিছুর সূচনা তরুণদের হাত ধরেই হয়। দলের তরুণ সদস্যরা হয়তো বেশি ম্যাচ খেলেনি। কিন্তু তারা অনেক পজিটিভ। মানসিকভাবে তারা খুব শক্তিশালী। দেখে মনে হচ্ছে তারা কিছু একটা করতে চায়। ওরা খুব ভালো অবস্থায় আছে। এটাকে ধরে রাখতে পারলে খুব ভালো করতে পারবে। যেটা মুশফিক, সাকিব ও তামিম ২০০৭ বিশ্বকাপে করেছিল।’
বিশ্বকাপের তৃতীয় দিনেই সবাইকে চমকে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড, ৩০৪ রান তাড়া করে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। মাশরাফির দলকে এটা অনুপ্রাণিত করতে পারে, আবার দুশ্চিন্তায়ও ফেলতে পারে। বাংলাদেশ অধিনায়ক অবশ্য ‘আইরিশ-রূপকথা’ থেকে ইতিবাচক দিকটাই খুঁজে নিলেন, ‘আয়ারল্যান্ড ৩০০ রানের বেশি তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছে। অবশ্যই এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। ছেলেরা এটা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ভাবছে যে ওরা পারছে। তাহলে আমরাও ইনশাল্লাহ পারব।’