কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সরকারের চুক্তি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/23/photo-1424683206.jpg)
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করতে এটি করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স অ্যাগ্রিমেন্ট—এপিএ)। আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে এ চুক্তি সই হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে চুক্তিতে সই করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। এ চুক্তি বাস্তবায়ন করতে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (গভর্নমেন্ট পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) নামে একটি পদ্ধতিও চালু করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবছর মন্ত্রিপরিষদের একজন সচিবের (সমন্বয় ও সংস্কার) নেতৃত্বে একটি তদারককারী দল থাকবে। সরকারি কর্মসম্পাদনে কোনো ব্যর্থতা চিহ্নিত হলে নির্দিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
সচিব জানান, প্রাথমিকভাবে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের পক্ষে সচিবরা এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। পর্যায়ক্রমে আরো ৩৮টি মন্ত্রণালয় চুক্তিতে সই করবে।
যে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সই করল
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
ঐতিহাসিক মুহূর্ত
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বাড়বে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ চুক্তি স্বাক্ষরকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলেছেন। এর মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিবিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাঁদের কর্মে অবহেলা ও অপরাধের জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থার বিধান আছে। তার পরও এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন? দায়িত্ব পালনে কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, এ চুক্তি সই করার ফলে কর্মকর্তাদের জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি তাঁদের কর্মস্পৃহা বাড়বে।
সচিব আরো বলেন, এ ধরনের পদ্ধতি বিশ্বের উন্নত অনেক দেশেই আছে। বাংলাদেশে নতুন হলেও উন্নত দেশগুলোতে অনেক আগেই এ পদ্ধতি চালু হয়েছে।