কোকোর চেহলাম থেকে বেরিয়ে কথা বললেন না রফিক

দিনব্যাপী কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর চেহলাম। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে যোগ দেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তবে কার্যালয় বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের কিছু বলেননি তিনি।
বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে মোনাজাত শেষ হয়। কার্যালয়ের দোতলায় বসে খালেদা জিয়া মোনাজাতে অংশ নেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন তাঁর প্রেস সচিব মারুফ কামাল।
মোনাজাত শেষ হওয়ার পর উপস্থিত সবাইকে খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় কার্যালয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ২০ থেকে ২৫ জনকে ভেতর থেকে খাবার এনে দেওয়া হয়। বেলা সোয়া ১১টায় বারিধারার আজিজিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ছয়জন মৌলভি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর বাড্ডা মাদ্রাসা, জুরাইনের মাদ্রাসা-ই-তাহমিদেরসহ মোট ১৭ জন মৌলভী এ দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
কার্যালয়ে প্রবেশের সময় বিস্তারিত পরিচয় লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি ছবি তুলে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভিডিওচিত্রও ধারণ করেছেন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যরা। কার্যালয়ের সামনে ১৮৬ নম্বর রোডের মাথায় আগের মতোই পুলিশের ব্যারিকেড আছে। সেই সঙ্গে সাংবাদিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছাড়া কার্যালয়ের সামনেও তেমন কারো উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
২৮ জানুয়ারি তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয়। ওই দিনই বনানী কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। মোনাজাত শেষ হওয়ার পর বিকেল ৫টার দিকে বেরিয়ে যান ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই পরিচয়ে জাহিদ হোসেন নামে একজন তাঁর দুই ছেলে নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সকাল থেকে মোনাজাত পর্যন্ত মোট ২৬ জন ওই কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
কার্যালয়ের ভেতরে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, স্থায়ী কমিটির সদ্স্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির ও শামসুজ্জামান দিদার, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
কোরআন শরিফ উপহার
হাজারীবাগ থেকে গুলশানের কার্যালয়ে এসেছিলেন আবুল কালাম। একটি কোরআন শরিফ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মূল গেটের সামনে। তিনি খালেদা জিয়াকে কোরআন শরিফ উপহার দিতে এসেছেন বলে জানান। পরে শায়রুল কবির খানের হাতে তিনি কোরআন শরিফ তুলে দেন। এরপর আবুল কালাম ফিরে চলে যান। তবে একজন ব্রিটিশ প্রবাসী বাংলাদেশি কার্যালয়ের ভেতর প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দিয়েছে।
এদিকে, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আজ আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু নিরাপত্তাসহ আরো বেশকিছু কারণে আদালতে হাজির হননি তিনি।