মৌলভীবাজারে জামায়াতকর্মীকে হত্যা
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জালাল উদ্দিন নামের এক জামায়াতকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের কাসেমনগরের বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন জালাল। পথে মাধবকুণ্ডের কাছে লক্ষ্মীছড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাঁকে পেটায় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনার পর অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মুঠোফোনে পুলিশকে জালালউদ্দিন আহত হওয়ার খবর জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অচেতন অবস্থায় জালালকে উদ্ধার করে বড়লেখা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে রাত ২টার দিকে মারা যান জালাল।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, একটি মোবাইল ফোনে তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে দেখা যায় জালাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় আটকে রেখেছে এলাকার লোকজন। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে বড়লেখা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
জালাল উদ্দিন ২০১৩ সালে ছাত্রলীগকর্মী কবির আহমদের করা একটি জিআর মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বলেও জানান ওসি।
এদিকে নিহতের বড় বোন মিনা বেগম দাবি করেন, মারা যাওয়ার আগে জালাল বলে যায় যে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী কবির, জাকির, নূর উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন তাঁকে দা ও লাঠি দিয়ে মাটিতে ফেলে আঘাত করে। এ সময় তারা তাঁকে জামায়াতের রাজনীতি ত্যাগ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে পেটায়।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বড়লেখা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর। তিনি বলেন, যুবলীগ বা ছাত্রলীগের কোনো কর্মী এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। কাঁঠালতলী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নাশকতা চলতে থাকায় এলাকার সাধারণ মানুষের জনরোষের প্রতিফলনের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
জালাল উদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ সয্যা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।