ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি : ২ যুবলীগকর্মী গ্রেপ্তার
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/26/mymen_guli_arrersted_humanchain_ripon_tomal_pic.jpg)
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা নির্বাচনের পরের দিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে গুলি ও হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন ৮ নং ডৌহাখলা ইউনিয়নের মো. কাইয়ুম।
এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় যুবলীগের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করে আজ রোববার (২৬ মে) কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
যুবলীগের ওই দুই কর্মী হলেন তমাল পাঠান (২৮) ও রিপন শেখ (২৫)। এর আগে গতকাল বিকেলে গৌরীপুর থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবলীগকর্মী নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান সোমনাথ সাহার সমর্থক ছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাইয়ুম।
চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে গুলি ও হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কাইয়ুমের সমর্থক এলাকাবাসী আজ রোববার দুপুর ১২টায় উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
স্থানীয়রা জানায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ সদ্য সমাপ্ত গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান সোমনাথ সাহার পক্ষে নির্বাচন করেন। অপরদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কাইয়ুম পরাজিত প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন খানের সমর্থক ছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাইয়ূম সাংবাদিকদের বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। এই ঘটনার জের ধরে গত ২২ মে কলতাপাড়া বাজারে হত্যার উদ্দেশ্যে শহীদের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমার ওপর হামলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তারা স্থানীয় দোকানপাটে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন দন্দ্র রায় বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।