‘নতুন যুগে’র অপেক্ষায় ওয়াকার ইউনিস
মিসবাহ-উল-হক আর শহীদ আফ্রিদি বিদায় জানিয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটকে। বাংলাদেশ সফরের ওয়ানডে দলে ইউনিস খানও নেই; বরং একঝাঁক নতুন মুখের ছড়াছড়ি। আর এদের নিয়েই পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘নতুন যুগ’ শুরুর স্বপ্ন দেখছেন কোচ ওয়াকার ইউনিস।
দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী সোমবার বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপ তেমন ভালো কাটেনি পাকিস্তানের, কোয়ার্টার ফাইনালে হার মানতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ক্রিকেটের সেরা আসর চলার সময়ই ওপেনার আহমেদ শেহজাদ আর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান উমর আকমলের আচরণ তেমন সুবিধার ঠেকছিল না ওয়াকারের। দেশে ফিরেই দুজনকে দল থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। শেহজাদ-আকমলের বিরুদ্ধে দলের প্রতি দায়বদ্ধতার অভাব আর বাজে পারফরম্যান্সের অভিযোগ করেছিলেন ওয়াকার।
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তান দলে যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে, তা অনুমিতই ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার পুরস্কার হিসেবে সামি আসলাম, বাবর আজম, মুখতার আহমেদ আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো নবাগতরা তাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন, যাদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী ওয়াকার। লাহোরে দলের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, পাকিস্তান ক্রিকেটের নতুন যুগ শুরু হতে যাচ্ছে। এই নতুন খেলোয়াড়রা পাকিস্তান ক্রিকেটকে অনেক বছর ধরে সেবা করবে। কারণ, এটা তাদের জন্য একটা বিশাল সুযোগ।’
খেলোয়াড়ি-জীবনে তাঁর বোলিং-তোপ সামলাতে হিমশিম খেতে হতো ব্যাটসম্যানদের। সেই সময়ের ইতিবাচক মানসিকতা আজও ওয়াকার বয়ে নিয়ে চলেছেন, ‘এ মুহূর্তে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক মনোভাব। মনোভাব, ফিল্ডিং আর ফিটনেসে উন্নতি করতে না পারলে আমরা অন্য দলগুলোর চেয়ে পিছিয়ে পড়ব। এটা আমার দল নয়, আপনাদেরও না। এটা পাকিস্তান দল। আর খেলোয়াড়দের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিই দলটাকে পাল্টে দিতে পারে। যাদের মধ্যে এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তাদের আমি সম্মান করি।’
টেস্টে ৩৭৩ আর ওয়ানডেতে ৪১৬ উইকেটের মালিক ওয়াকারের এখন একটাই লক্ষ্য—দলকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নেওয়া। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি পাকিস্তান দলে তীব্র অনুরাগ নিয়ে খেলেছি। আর এখন দলকে ভালোভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’