রিফাত শরীফ হত্যায় মিন্নিও জড়িত, রিফাত ফরাজীর জবানবন্দি
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তৃতীয় দফার সাত দিনের রিমান্ডের ছয় দিন শেষে আজ শনিবার আদালতে হাজির করলে রিফাত ফরাজী বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এ জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী রিফাত ফরাজীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন করিব বলেন, তৃতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ড চলাকালে আদালতে হাজির করলে রিফাত ফরাজী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে রিফাত ফরাজী এ হত্যাকাণ্ডে মিন্নিও জড়িত বলে আদালতকে জানিয়েছেন। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রিফাত ফরাজীসহ ১৪ জন অভিযুক্ত রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া এ মামলার তিন নম্বর অভিযুক্ত রিশান ফরাজী রিমান্ডে রয়েছেন। আর এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
গত ২৬ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ একদল যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রিফাতের স্ত্রী আয়শা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন; কিন্তু তাদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বৃহস্পতিবার সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন।