সাতক্ষীরায় শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা, আটক ১
সাতক্ষীরায় চার বছরের শিশু শাওনকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠছে তার সৎবাবার বিরুদ্ধে। পুলিশ শিশুটির সৎবাবা সবুজ গাজীকে আটক করেছে। মাত্র ২০ দিন আগে সবুজ গাজী শাওনের মা ফাতেমা খাতুনকে বিয়ে করেছিলেন। কলারোয়া উপজেলায় ঝিকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শাওনের মা ফাতেমা খাতুন অভিযোগ করেন, সবুজ গাজী তাঁকে ভারতের মুম্বাইয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল। সবুজের উদ্দেশ্য ছিল তাঁকে মুম্বাইয়ে নিয়ে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া। সবুজের কথায় রাজি না হওয়াতেই শিশু শাওনকে হত্যা করেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সফিকুর রহমান জানান, শিশু শাওনকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন সবুজ গাজী। গত বুধবার দুপুরে বাড়িতে একসাথে খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি শাওনকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। পরে বাড়ির অদূরে একটি পুকুরে নেমে শাওনকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে পুঁতে রাখেন।
আজ বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীর চাপের মুখে সবুজ গাজী শিশু শাওনের লাশ পানি থেকে তুলে দিয়েছেন। সবুজ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি।
নিহত শাওনের নানি রহিমা খাতুন জানান, কবিরাজি চিকিৎসা করার নামে প্রতারণা করে ফাতেমাকে বিয়ে করেন সবুজ গাজী। এ জন্য ফাতেমা তাঁর প্রথম স্বামী সাইফুলকে তালাক দিয়ে ২০ দিন আগে সবুজকে বিয়ে করেন। তিনি আরো জানান, বিয়ের পরদিন থেকে সবুজ ফাতেমাকে তাঁর সাথে ভারতের মুম্বাইয়ে যেতে চাপ দিতে থাকেন। ফাতেমা নিজের শিশুসন্তানকে নিয়ে যেতে চান। এ নিয়ে তাঁদের সংসারে কলহ চলছিল বলে তিনি জানান।