ভ্রাম্যমাণ আদালতের ক্ষমতা বাড়ছে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/22/photo-1434963648.jpg)
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সংশোধন আইন, ২০১৫-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
urgentPhoto
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের সেমিনার কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইয়া সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
খসড়ায় বলা হয়েছে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার করে ম্যাজিস্ট্রেটরা সাজা দিতে পারবেন। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটরা ইচ্ছা করলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে পারবেন।
বিদ্যমান আইনে আছে, ম্যাজিস্ট্রেটরা কোনো অপরাধী দোষ স্বীকার করলেই শুধু সাজা দিতে পারেন। কিন্তু সংশোধনী আইনে দোষ স্বীকার না করলেও প্রযুক্তি ব্যবহার করে দোষীদের শাস্তি দিতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেট।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা বাড়ানোর ফলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা কোনোভাবেই খর্ব হবে না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, এ আইনটির সংশোধনের উদ্দেশ্য দমন বা হয়রানি না। জণগণের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আইনটি সংশোধন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
সচিব জানান, ২০০৯ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনটি ভেজালবিরোধী অভিযান, ইভ টিজিং, পরীক্ষায় নকল, নির্বাচনে কারচুপি ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে এ আইনটি করা হয়। ২০১০-১৪ সাল পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে বিচারকরা যে ধরনের সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হন, সেগুলো তাঁরা মন্ত্রিপরিষদে তুলে ধরেন। সে আলোকে এ আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানান সচিব।
সচিব বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটদের সামনে দোষ স্বীকার করলে শাস্তি হচ্ছিল, না করলে শাস্তি দিতে পারছিলেন না বর্তমান আইনে। এতে অনেক অপরাধী ছাড়া পেয়ে গেছে।