দীঘিনালায় আনসার ক্যাম্পে গুলি, নায়েক নিহত
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী এলাকায় হিল আনসার ক্যাম্পে সৈনিকের গুলিতে আরেক আনসার কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। নায়েক পদমর্যাদার নিহত ওই কর্মকর্তার নাম আমির হোসেন (৫৫)। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কবাখালী ইউনিয়নের চৌধুরীটিলা আনসার পোস্টে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ঘাতক রফিকুল ইসলাম তাঁর ব্যবহৃত থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও ৮৪ রাউন্ড গুলিসহ পালিয়ে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা গেছে, ঘটনার পর খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গোটা এলাকাটি ঘেরাও করে রেখেছে। এবং মাইকে বারবার রফিকুল ইসলামের নাম ধরে তাঁকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
খাগড়াছড়ি জেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আ. মজিদ এনটিভি অনলাইনকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, চৌধুরীটিলা আনসার পোস্টে নয়জন আনসার সদস্য থাকলেও দুজন ছুটিতে ছিলেন। ফলে আজ সাতজন দায়িত্বে ছিলেন।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, বাম পাজরে গুলি লেগে ডান পাজর দিয়ে বেরিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই নিহত হন আমির হোসেন। লাশের সুরহতাল প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে; ঘাতক পলাতক রফিকুলকে আটকের জন্য যৌথ অভিযান চলছে।
ওসি শাহাদাত হোসেন আরো জানান, উপস্থিত আনসার সদস্যরা জানিয়েছেন ঘটনার সময় রফিকুল ইসলাম ক্যাম্পে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় ডিউটি বণ্টনরত নায়েক আমির হোসেনসহ আরো কয়েকজন সেই ঘরে কথা বলছিলেন। এতে রফিকুল ইসলামের ঘুমের সমস্যা হওয়ায় তিনি বের হয়ে বাকিদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে রফিকুল বন্দুক নিয়ে গুলি করতে উদ্যত হলে নায়েক আমির হোসেন তাঁকে নিবৃত্ত করতে এগিয়ে যান। তিনি বন্দুকের নলটি ওপরের দিকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলে রফিকুল টিগার চাপ দিতেই গুলিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
জানা গেছে, নিহত নায়েক আমির হোসেন এবং ঘাতক রফিকুল ইসলাম দুজনের বাড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং এলাকায়।