পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ছেলে খুন, মা ও প্রেমিক গ্রেপ্তার
গাজীপুরের পূবাইলে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় এক কিশোরকে ইঁদুরের বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মা ও প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত কিশোরের নাম সোলেমান হোসেন ওরফে সম্রাট (১৭)। সে রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুরে একটি অনলাইন শপে চাকরি করত।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার বাইগুনি গ্রামের আব্দুল হামিদ প্রামাণিকের মেয়ে স্বপ্না খাতুন এবং পূবাইল থানার সাতপোয়া এলাকার মো. জামির উদ্দিনের ছেলে আমির আলী।
জিএমপির পূবাইল থানার ওসি শেখ আমিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী জাকির হোসেনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার কুদাব এলাকায় আলাদা ভাড়া বাসায় থাকতেন ওই নারী। স্থানীয় বাসিন্দা আমির আলীর সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি বড় ছেলের নজরে এলে সে বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হন ওই নারী। একপর্যায়ে ছেলে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী সোলেমানকে ফোন করে পূবাইলের করমতলা রেললাইনের পাশে ডেকে নেন প্রেমিক আমির আলী। সেখানে কৌশলে গ্লাসের পানিতে ইঁদুরের ওষুধ মিশিয়ে সোলেমানকে খেতে দেন। ইঁদুরের ওষুধ মিশ্রিত পানি পান করে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সোলেমান। পরে তার মৃতদেহ রেললাইনের পাশে সুলতানের মাছের খামারের পুকুরে ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান আমির আলী।
ওসি শেখ আমিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরদিন শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ওই পুকুরে সোলেমানের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ফুফা টিপু সুলতান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ নিহতের মা ও প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন।
শেখ আমিরুল ইসলাম আরও বলেন, রোববার আদালতে পাঠানো হলে বিচারকের কাছে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্বপ্না খাতুন ও আমির আলী। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।