এলজিআরডি দুর্নীতিমুক্ত করতে সময় লাগবে না : খন্দকার মোশাররফ
সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এলজিআরডি তো আমার নিজের হাতে গড়া। এ মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করতে বেশি সময় লাগবে না। আমি যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছি সে মন্ত্রণালয়েও কিন্তু নানা ঝামেলা-ভেজাল ছিল। এ মন্ত্রণালয়কে পরিপূর্ণভাবে দুর্নীতিমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি, এটা সবাই জানে।’ urgentPhoto
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) মন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওই পদে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আগের মন্ত্রণালয়ে (প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্পর্কে সবাই পজিটিভ মন্তব্য করছেন উল্লেখ করে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, ‘পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এতে অন্য কোনো বিষয় নেই। দলের মহাসচিবই (সাধারণ সম্পাদক) এলজিআরডি মন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন, এমন কোনো বিধিবদ্ধ নিয়ম নেই। প্রথা অনুযায়ী এটা চলে আসছে। এটা ভাঙা যাবে না এমন কোনো কথা নাই। কাজেই এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসলেই যে, দলের মহাসচিব হতে হবে বা মহাসচিব হলেই যে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন আমার মনে হয় এটা যুক্তিযুক্ত না। মন্ত্রিসভা চালাতে গিয়ে যাঁদের প্রয়োজন হবে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের নেবেন। এটা আলোচনা-সমালোচনার কোনো বিষয় না, এটা কর্তব্য-নিষ্ঠার বিষয়।
আমরা কাজ করছি প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ মোতাবেক। তাঁর শক্তিতেই আমরা কাজ করি। এটা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত এখতিয়ার, সাংবিধানিকভাবেই তিনি এটা করতে পারেন। এর মধ্যে গুঞ্জন বা আলোচনা-সমালোচনার কোনো বিষয় নেই।’
এর আগে মন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় এলজিআরডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধুরী এমদাদুল হক, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।