লক্ষ্মীপুরে কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৩
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ওই কিশোরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রাম থেকে তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন পশ্চিম ভাদুর গ্রামের বাসিন্দা ইমন, রাসেল ও শরীফ। ওই কিশোরী উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েক বছর আগে ওই কিশোরীর মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর তারা বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। বাবার বাড়িতে একাই থাকত ওই কিশোরী। এ সুযোগে কিছুদিন আগে পশ্চিম ভাদুর গ্রামের শাওন ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গতকাল সোমবার রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শাওন কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পশ্চিম ভাদুর গ্রামে বন্ধু ইমনের বাড়িতে নিয়ে পাঁচজন মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। আজ সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূমুর্ষূ অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে শাওন পলাতক রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তাকে এখন হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্ত শাওনসহ দুজনকে আটকে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।