মিয়ানমার ফেরত ১৫৫ জনকে স্বজনের কাছে হস্তান্তর
অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মিয়ানমার সমুদ্র উপকূলে উদ্ধার ১৫৫ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর তাঁদের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে ৩০ জুলাই আরো ১৫৯ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে।
urgentPhoto
গত ২২ জুলাই মিয়ানমার থেকে ফিরে আসার পর গত দুদিন নাম-ঠিকানা আরো যাচাই-বাছাইসহ তাঁদের কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিজ নিজ জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে রওনা দেওয়ার সময় ফিরে আসা বাংলাদেশিরা সাগরে নানা দুর্ভোগের কথা জানানোর পাশাপাশি মানবপাচারের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক রাখবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মাধ্যমে আজ শুক্রবার দুপুরে ১৪৬ জন ও বৃহস্পতিবার রাতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে নয়জন শিশুকে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৫৫ জনের মধ্যে কেউ অপরাধী না হওয়ায় সবাইকে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ওই ১৫৫ জন দেশের ১৪ জেলার বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদকালে ফিরে আসা বাংলাদেশিরা ৭০ জন দালালের নাম উল্লেখ করেছেন। মানবপাচারের অভিযোগে ওই ৭০ দালালের বিরুদ্ধে ১৪টি জেলায় একটি করে মামলা করা হবে।
গত বুধবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ১৫৫ জনকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ডরমেটরিতে রাখা হয়। সেখানে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সবার তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে। এই নিয়ে মিয়ানমারের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে সাগরপথে মানবপাচারের শিকার ৩৪২ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হলো।
অপরদিকে আইওএমের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে অভিবাসনপ্রত্যাশী আরো বাংলাদেশি রয়েছে। তাঁদের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করছে বাংলাদেশ সরকার।
আইওএমের প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনির জানান, ৩০ জুলাই আরো ১৫৯ জনকে আনার কথা রয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।