টাকা আত্মসাতের মামলায় লক্ষ্মীপুরে ডাক কর্মকর্তা কারাগারে
গ্রাহকের সঞ্চয়কৃত টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় লক্ষ্মীপুরের সহকারী পোস্টমাস্টার শ্রীবাস চন্দ্র দেকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারের পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর মাইজদি সুপার মার্কেট এলাকা থেকে শ্রীবাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর সন্ধ্যায় তিনি জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, পাঁচজন গ্রাহকের মোট ৩০ লাখ ২৭ হাজার টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করে শ্রীবাস আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শ্রীবাস দে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের উপ-ডাকঘরের সহকারী পোস্টমাস্টার (বর্তমানে সাময়িকভাবে বরখাস্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
দুদক নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সহকারী পোস্টমাস্টার শ্রীবাস চন্দ্র দের বিরুদ্ধে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ১৩ মে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়। সদর উপজেলার দত্তপাড়ার দক্ষিণ মাগুড়ী গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাহক হাবিব উল্লাহ এই মামলা করেন।
পরের দিন ওই গ্রাহক নোয়াখালী বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. মনিরুজ্জামানের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে তিনি বিষয়টি তদন্তের জন্য দুদকে জানান।
পরবর্তী সময়ে দুদকের তদন্তে শ্রীবাসের বিরুদ্ধে আরো চার গ্রাহকের ২৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সদর উপজেলার শিল্পী নামের এক গ্রাহকের পাঁচ লাখ, তোতারখিল গ্রামের রাসেলের পাঁচ লাখ, বড়ালিয়া গ্রামের লাখী রানী সূত্রধরের তিন লাখ ও গণেশ্যামপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ১৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এ অঙ্কের টাকার শুধু গ্রাহকের পাশবইতে তোলা হয়েছে। কিন্তু সরকারি তহবিলে জমা করা হয়নি।