প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে : অ্যাটর্নি জেনারেল
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর মাধ্যমে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
urgentPhoto
আজ বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সাকা চৌধুরীর রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় মাহবুবে আলম এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এটিই আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। এটি আশা করেছিলাম। তাঁর ভূমিকা ভয়াবহ। তাঁর এ সাজা যদি না হতো, আমরা প্রচণ্ড হতাশায় নিমজ্জিত হতাম। আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নয়টি অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটিতে মৃত্যুদণ্ড, চারটিতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে সপ্তম অভিযোগ থেকে সাকা চৌধুরীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি অভিযোগগুলোতে আগের সাজা হুবহু বহাল রাখা হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, আজ সংক্ষিপ্ত রায় দেওয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আসামিপক্ষ রিভিউ করতে পারবে।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বাইরে ছিলেন বলে কোনো কোনো মহল দাবি করে—এক সাংবাদিকের এমন জিজ্ঞাসার জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাকা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বাইরে ছিলেন, এমন বক্তব্য আদালত গ্রহণ করেননি।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা জানান, সাকা চৌধুরীকে নিয়ে জনকণ্ঠে অতি উৎসাহী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এটি বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং জনমনে প্রচণ্ড হতাশা তৈরি করে। এ জন্য জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ এবং নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক স্বদেশ রায়কে কেন দণ্ড দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ৩ আগস্ট তাঁদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
মাহবুবে আলম বলেন, সাকার রায়ের বিষয় নিয়ে আগেই উদ্বেগ ও মন্তব্য করায় ইমরান এইচ সরকারের জীবনবৃত্তান্ত চেয়েছেন আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেলকে ইমরানের সেই বৃত্তান্ত আদালতের কাছে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আজ সকালে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে সাকা চৌধুরীর আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।