রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমদানিকারকদের সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত অ্যাপারেল অ্যান্ড সেফটি এক্সপো ২০১৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন শ্রমিকদের মজুরি, আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ও সার্বিক পরিবেশের দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলেও জানান তিনি।
তৈরি পোশাক খাতে প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণের পরও রপ্তানি ক্ষেত্রে আমেরিকায় কোটামুক্ত সুবিধা এখনো পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী আমদানিকারকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে পোশাকশিল্পের বিকাশে বাংলাদেশ সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তার প্রশংসা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট।
২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির পথনকশা (রোডম্যাপ) তৈরির লক্ষ্যে বিজিএমইএ এই মেলার আয়োজন করে। সকালে চট্টগ্রামের হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে আয়োজিত তিন দিনের মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। এর ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমদানিকারকদের সহযোগিতা চান তিনি।
মেলার আয়োজক বিজিএমইএ জানায়, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রধান অন্তরায়গুলো এরই মধ্যে চিহ্নিত করা গেছে। এসব বাধা থেকে বেরিয়ে আসার একটি পথনকশা চট্টগ্রামের এই আয়োজন থেকে সরকারের সামনে তুলে ধরা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের ট্রেড মনিটরিং গ্রুপ ফর সাউথ এশিয়ার সদস্য সাজ্জাদ করিম ও হেড অব ডেলিগেটস পিয়েরে মায়াডোন বক্তব্য রাখেন। পরে অতিথিরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
তোফায়েল আহমেদ এর ছবি দিতে হবে