নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে দুই স্কুলছাত্রীকে হত্যা
মাদারীপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর নির্যাতন করে তাদের মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। বিকেলে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে ওই দুই স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
নিহতরা হলেন মস্তফাপুর গ্রামের বিল্লাল শিকদারের মেয়ে সুমাইয়া (১৬) এবং একই গ্রামের হাবিব খাঁর মেয়ে হ্যাপি (১৫)। তারা দুজনই মস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় আটকরা হলেন একই গ্রামের রকিব (১৬) ও শিপন (১৬)।
নিহত সুমাইয়ার বাবা বিল্লাল শিকদার হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সুমাইয়া ও প্রতিবেশী সহপাঠী হ্যাপি স্কুলে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়। বিকেলে লোকমুখে খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে এসে সুমাইয়া ও হ্যাপির লাশ দেখতে পান।
বিল্লাল শিকদার আরো জানান, ‘প্রতিবেশী আলম শিকদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে নির্যাতন করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
তবে আকারে-ইঙ্গিতে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগও করেন বিল্লাল শিকদার। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি মেয়ের বাবা সব কথা কীভাবে বলব।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজীব হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিকেলে চার কিশোর ওই দুই স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তারা জানায়, দুই ছাত্রী বিষ খেয়েছে।’
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারেক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তাঁরা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে এসে দুই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগেই একজন মারা যায়। আরেকজন হাসপাতালে আনার কিছু পরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ধর্ষণের ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই জানান, লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ সময় লাশ নিয়ে আসা দুই যুবক রকিব ও শিপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বাকি দুজন পালিয়ে গেছে বলে জানান এসআই।