চুরির অভিযোগ এনে কিশোর রিকশাচালককে নির্যাতন
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় চুরির অভিযোগ এনে মুছা নামের এক কিশোর রিকশাচালককে বেঁধে বুধবার রাতভর নির্যাতন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকাবাসী ওই কিশোরকে উদ্ধার করে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
urgentPhoto
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিমুল ইসলাম জানান, কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার ২ নম্বর আসামি শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, মেলান্দহ পৌর এলাকার চাকদহ সরদারবাড়ির হতদরিদ্র দুলাল মাঝির ১৩ বছর বয়সী কিশোর ছেলে মুছা অভাবের তাড়নায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সে বুধবার দিনভর রিকশা চালায়। রাত ১২টার দিকে রিকশার মালিক রাজ্জাকের বাসায় রিকশা জমা দিতে যায় মুছা। বাড়ির গেটে মালিককে ডাকাডাকি করার সময় পাশের বাড়ির সাবেক পৌর কমিশনার আবদুল মালেকের ভাই রফিকুল ইসলাম ওরফে চিকু শেখের ঘুম ভেঙে যায়। পরে তিনি চুরির অভিযোগ এনে মুছাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখেন। রাতভর পরিবারের লোকজন মুছার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান। খবর পেয়ে ওই কিশোরের বাবা দুলাল মাঝি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চিকু শেখের বাড়ি থেকে মুছাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ঘটনার পর চিকু শেখের পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় নির্যাতনের ব্যাপারে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মেলান্দহ থানার ওসি নাসিমুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এই মামলার তদন্ত করছি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’