চীনে মাস্ক বিতরণ করছেন বাংলাদেশি ডা. ফেরদৌস
বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের নতুন নাম করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জনে। এ ছাড়া আজ সোমবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১৭ হাজার ২০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্তের আশঙ্কায় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন দেড় লাখের বেশি মানুষ। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত হুবেই প্রদশের উহান শহরে।
ভাইরাসটি মহামারী আকার ধারন করবে কি না অথবা বিশ্বের সামনে আরো বড় বিপদ অপেক্ষমান রয়েছে কি না তা জানার উপায় নেই, কেননা এর কোনো প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি।
তবে চীনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন চীনে অবস্থানকারী বাংলাদেশী চিকিৎসক এমডি মিসবাহুল ফেরদৌস। রোগীদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক বিতরণ করছেন এই বাংলাদেশী চিকিৎসক।
সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডাঃ ফেরদৌস চীনের বেইজিংয়ের কার্ডিওলজি বিভাগে চিকিৎসক হিসাবে কাজ করছেন । তাঁর হাসপাতালের নাম ফুওয়াই হাসপাতাল। এটি চীনের বেইজিং এর কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের জাতীয় কেন্দ্র। তাছাড়া তিনি এশিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির সহ-সভাপতি।
তিনি অনুষদ ও স্পিকার হিসেবে সৌদি আরবে আইএমসি লাইভ -৮ সম্মেলনে যোগদানের জন্য গত ১ জানুয়ারি সৌদি আরব যান। তারপর তিনি সেখান থেকে উমরাহ করতে যান ও ২৭ জানুয়ারী তিনি বেইজিংয়ে ফিরে আসেন।
সৌদি আরব থেকে তিনি বেইজিংয়ে ফিরে আসার আগে আধা দিনের জন্য একটি ট্যাক্সি নিয়েছিলেন বিভিন্ন মেডিকেল স্টোর (সৌদি আরব) থেকে মুখোশ কিনতে। তিনি ১৪টি মেডিকেল স্টোর থেকে ২৫ টি মুখোশের বাক্স কিনে নিয়ে এসেছিলেন চীনে।
তিনি চীনের বিভিন্ন শহরের থানায়, শিক্ষক ও তাঁর বন্ধুদের মধ্যে ১২৫০ টি মাস্ক বিতরণ করেছেন। তিনি জানান, থানায় ১০০টি, বেইজিং থানায় ৩০০টি, বিভিন্ন শহরের বন্ধুদের মধ্যে যেমন- বেইজিং, শাংদং, ছংছিং, কুনমিং, নিংশিয়া, সিচুয়ান, আনহুই-এ ৪০০- র বেশি মাস্ক বিতরণ করেছিলেন। বিভিন্ন শহরের শিক্ষকদের জন্য ১৭০টি। তিনি বেইজিংয়ে তাঁর স্থানীয় জনসাধারণের কাছে ১০০টি মাস্ক ও সাংহাই শহরে কয়েকজনকে কিছু মাস্ক বিতরন করেন।
ডাঃ ফেরদৌস জানান, তিনি তাঁর পরিবারের সকল সদস্য, বন্ধুবান্ধব ও বাংলাদশিরা চীনে ফিরে আসতে বারণ করেছেন।
কিন্তু তিনি বলেন, ‘আমি অনুভব করি যে, আমাকে অবশ্যই বেইজিংয়ে ফিরে যেতে হবে ও আমার বন্ধুদের সহায়তা করতে হবে। ভবিষ্যতে যদি এর কারনে আমার মৃত্যুও ঘটে সেটি একটি বীরত্বপূর্ণ মৃত্যু হবে। একজন চিকিৎসক হিসেবে যদি আমি বাস্তবতা থেকে দূরে যাই তাহলে কিভাবে হবে?