জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে তিন আইনজীবী আটক
জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডের অর্থ জোগানোর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবীকে আটক করেছে র্যাপিট অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। আটকরা হলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, অ্যাডভোকেট মো. হাসানুজ্জামান লিটন ও অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকার ধানমণ্ডির একটি বাসা থেকে ব্যারিস্টার ফারজানাকে এবং আইনজীবী মো. হাসানুজ্জামান লিটন ও মাহফুজ চৌধুরী বাপনকে ধানমণ্ডির চেম্বার থেকে আটক করা হয়। পরে আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র্যাব ৭-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আটককৃতদের জঙ্গি অর্থায়নের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তাঁদের বাঁশখালীর আদালতে হাজির করা হবে।urgentPhoto
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ৭-এর পরিচালক কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদ জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে যারা বিভিন্ন অর্থ কোথায়, কীভাবে লেনদেন হচ্ছে এ বিষয়টিকে নিয়ে কাজ করে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তদন্ত করে আদালতের নির্দেশনা নিয়ে অর্থ জোগানদাতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডের জন্য এক কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ব্যারিস্টার ফারজানা শাকিল ৫২ লাখ টাকা এবং অন্য দুই আইনজীবী ৫৬ লাখ টাকা লেনদেন করেছেন। এর সঙ্গে দুবাইয়ের নাগরিক আল্লামা লিবদি নামে এক ব্যক্তিও জড়িত থাকার বিষয় জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেন র্যাব পরিচালক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৯ ফ্রেরুয়ারি হাটহাজারী আল মাদ্রাসাতুল আবু বকর ও ২১ ফ্রেরুয়ারি বাঁশখালীতে জঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ২৮ ফ্রেরুয়ারি নগরীর হালিশহর এলাকায় একটি বাড়িতে বিস্ফোরক মজুদের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ২৯ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা এসব তৎপরতায় অর্থ জোগানদাতা হিসেবে তিন আইনজীবীর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ তিন আইনজীবীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি আরো দাবি করেন, মিয়ানমানের রোহিঙ্গাদের অবমাননা ও তাদের নির্যাতনের বিষয়টিকে সামনে এনে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করে ছাত্র-যুবকদের সংগঠনের পতাকাতলে জড়ো করত জঙ্গিরা। বিভিন্ন স্থানে নাশকতার চেষ্টা চালাত তারা। এ ব্যাপারে আরো তদন্ত চলছে।
এ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে অনেকেই জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামের সাবেক সদস্য। এ ছাড়া মাদ্রাসার ছাত্র ও সাধারণ যুবকরা রয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটির বিভিন্ন বিভাগে বেশ কিছু লোক দায়িত্ব পালন করেন। সামরিক শাখা, দাওয়া শাখা ইত্যাদি। এ সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকে আটক করা গেলেও এখনো অনেকেই পলাতক।